ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

নাইজেরিয়ার চালানো বিমান হামলায় সাতশিশুর প্রাণহানি

আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ নাইজারে প্রতিবেশী রাষ্ট্র নাইজেরিয়ার চালানো বিমান হামলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত সাতশিশুর প্রাণহানি ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাটি ঘটেছে বলে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির বরাতে জানিয়েছে ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসি নিউজ।


প্রতিবেদনগুলোয় বলা হয়, স্থানীয়ভাবে ‘ডাকাত’ হিসেবে পরিচিত অস্ত্রধারী বিভিন্ন গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে যে অভিযান শুরু করেছে নাইজেরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী, মূলত তার অংশ হিসেবেই বিমান হামলা চালানো হয়েছিল।


যদিও রবিবারের নাইজারের মারাদি অঞ্চলে বিমান হামলায় যারা হতাহত হয়েছে, তাদের কারোরই সঙ্গেই সশস্ত্র কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মারাদির গভর্নর শাইবৌ আবুবাকার নাইজারের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলকে জানান, মারাদির নেশেদে গ্রামে ঘটা বিমান হামলায় ঘটনাস্থলেই ৪ শিশু নিহত হয়েছে। আর বাকি তিনজন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা গেছে।


এছাড়া আহত বাকি ৫ শিশুও বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতে আছে।


গভর্নর জানান, নাইজেরিয়া-নাইজার সীমান্তবর্তী গ্রাম মাদারৌনফা গ্রামে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী আস্তানা ধ্বংস করতেই সম্ভবত এই অভিযান চালিয়েছিল নাইজেরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী, যদিও ভুলবশত মাদারৌনফার বদলে তার পার্শ্ববর্তী গ্রাম নেদেশেতে হামলা করেছে নাইজেরীয় বাহিনী।


বিশ্লেষকদের মতে, গত প্রায় দুই দশক যাবৎ নাইজেরিয়া ও নাইজারের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশকিছু সশস্ত্র ডাকাত গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালিয়ে হত্যা, অপহরণ, লুটপাট ও গবাদিপশু চুরির মতো অপরাধ করে চলেছে। গোষ্ঠীগুলোর দৌরাত্ম্য-অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ।


উল্লেখ্য, সশস্ত্র এই গোষ্ঠীগুলোকে চিরতরে নির্মূল করতে ২০০৮ সাল থেকে যৌথ অভিযান শুরু করেছে নাইজেরিয়া ও নাইজার— দুই দেশের সেনাবাহিনী।


রবিবারের হামলার বিষয়ে নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করা হবে।

ads

Our Facebook Page